ডুরাবিলিটি অব্ মেটেরিয়াল্স
পাথরটি এখানে ছিল নিশ্চিত
আমার জন্মের আগে, আমার পিতার
এবং পিতামহের, এমনকি দশ পুরুষ আগেও
ওটির অবস্থান ছিল এখানেই
এই প্লাজাতে,
সমস্ত সজীবতাকে আর বেবাক জনগণকে
সে করেছে বয়সে অতিক্রম
এই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
আমি খালি হতে পারি নতজানু
আর করতে পারি আঘ্রাণ প্রাচীন
আর্দ্রতা,
আমরা যাব চলে আর রয়ে যাবে
পাথরটি
এ হেন প্লাজাতে
মাথা না নুইয়ে
তার নিজ অস্থির ওপর
থাকবে ঠিকই দাঁড়িয়ে
আমাদের মত ভঙ্গুর নয় সে।
হে জাগতিক স্থিতিশীলতা
লক্ষ্য করো কিভাবে ক্ষয়িত হয় সব
পাথরের সহস্রাব্দি প্রাচীন প্রলেপ
যাদের নেই ;
শতাব্দীর আলকেমিতে গঠিত ব্যসল্ট
আমাদের কান্ড তৈরী করে নি,
এই অপচয়ের আবরণে তাই
কোট আমাদের সম্বল।
কিন্তু মানুষ কি কখনো পেরেছে
করতে অতিক্রম
যা কিছু সে গড়েছে নিজ জীবন ধরে,
সে সর্বদাই বোধহয় তার সৃষ্টির চেয়ে কম সহনশীল।
ফার্স্ট কল্
কর রোমন্থন ভাষার লালিত্য নয়
যা কিছু ফেনিল
বরং তাই যাতে আছে কম্পমান আগুন
বা শিকড়ের টান।
উপুড় করে শংকু
তলানিতে আছে যা
তাকে ডাকো বালির গর্জনে
সমুদ্র যা জানে।
নাও এক গভীর প্রশ্বাস
আর দাও ডুব
আর এসে জানাও তাদের
যারা বালুতটের কাঁচে দাঁড়িয়ে
অপেক্ষমান।
অনেক কালি খরচের পরও
দেখো কেমন আমরা আজও বিবাদপূর্ণ।
তাই দূরাবস্থায় জ্বালো একটু আলো
লন্ঠনটিকে খাদের ওপর রাখো
আর খোঁজো চাবি পাথরের খাঁজে।
(এটি মেক্সিকান কবি হর্জে ওর্তেগার দুটি গদ্য কাব্যের আমার তরফ থেকে বংগানুবাদ করার একটি প্রয়াস। স্পানিস ভাষায় লেখা মূল কাব্য দ্বয়ের ইংরেজি অনুবাদক এন্থনি সিডমান।)